জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, প্রতিবছর আষাঢ় মাসের ০৭ তারিখে অম্বুবাচী পালিত হয়। শাস্ত্রমতে, সূর্য যে বারে ও যে সময়ে মিথুন রাশিতে গোচর করে, তার পরের সেই
বারেই পালিত হয় অম্বুবাচী। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই দিনটিই ০৭ই আষাঢ়। প্রতিবছর সূর্য আদ্রা নক্ষত্রের প্রথম পর্যায়ে অবস্থানকালে, মিথুন রাশির ০৬ ডিগ্রি 40 মিনিট থেকে ১০ ডিগ্রি পর্যন্ত সময় ধরিত্রী ঋতুমতী হন। এটিই অম্বুবাচী নামে পরিচিত। আষাঢ় মাসের মৃগোশিরা নক্ষত্রের তিনটি পর্যায়ে শেষ হলে ধরিত্রী ঋতুমতি হন। ধরিত্রীর ঋতুবতী থাকার সময় কাল তিন দিনের। এ সময় কোন শুভ অনুষ্ঠান কিংবা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান করা অশুভ হিসেবে ধরা হয়। অম্বুবাচীতে হাল ধরা, গৃহ প্রবেশ, বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ নিষিদ্ধ। এমনকি এ সময় কোনোও মন্দিরেও প্রবেশ করা নিষেধাজ্ঞা দেখা হয়।
আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পাদ অতীত হলে চতুর্থ পাদে আর্দ্রা নক্ষত্রের প্রথম পাদের মধ্যে ধরিত্রীদেবী ঋতুমতী হন। এই সময়কে অম্বুবাচী বলে। আষাঢ় মাসের ৭ তারিখে মৃগশিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে পৃথিবী বা ধরিত্রী মা রজঃস্বলা হন। এই সময়টিতে অম্বুবাচী পালন করা হয়।
আবার ঠিক এই একই সময়ে অসমের নীলাচল পাহাড়ে যোনিরূপা মহামায়া কামাখ্যাও ঋতুমতী হন। এই সময় তিনদিন দেবী মন্দির বন্ধ থাকে। তিন দিন গত হলে দেবী মন্দির খোলা হয় এবং দেবীর স্নান ও পূজার্চনা শেষে ভক্তদের দেবী দর্শন করতে দেওয়া হয়।
সাধারণত ৬ই বা ৭ই আষাঢ় থেকে ১০ই বা ১১ই আষাঢ় পর্যন্ত এই যোগ থাকে।
অম্বুবাচী যোগের জগন্মাতা কামাখ্যার রক্তবস্ত্র দেহে ধারণ করলে অভীষ্ট ফললাভ হয়ে থাকে।তাছাড়া ওই রক্তবস্ত্র ধারণ করে যে কোনো স্থানে জপ, পূজা করলেও সাধক এর সাধনা পূর্ন হয়।