বিবাহে সাবধান
আমাদের জীবনে চলার পথে জানা-অজানায় নানা-রকম ভুলভ্রান্তি হয়, তার মধ্যে অনেক কিছু আমরা শুধরে নিতে পারি। কিন্তু বিবাহে যদি ভুল হয়ে যায়, সেইভুল আর ঠিক করা সম্ভব হয়ে ওঠে না, নিজেই তো বটেই, সমাজ-পারিপার্শিক সমস্ত কিছু এর দ্বারা ধ্বংসের দিকে একটু-একটু করে এগিয়ে চলে। বিবাহ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বন্ধন এবং এতে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। এর মধ্যে রয়েছে উপযুক্ত সঙ্গী নির্বাচন, উভয় পক্ষের সম্মতি, সঠিক ধর্মীয় ও আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা এবং সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ বজায় রাখা। বিবাহে সতর্কতা বলতে বোঝানো হয় জীবনসঙ্গী নির্বাচন করার সময় ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক দিকগুলো বিবেচনা করা এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে একটি সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।
তাই শাস্ত্র বারংবার বিবাহ সম্পর্কে সাবধান করেছেন। এখানে সংক্ষেপে বিবাহ সম্পর্কে তাঁর বিভিন্ন বলা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
1. ব্রাক্ষ্মন পাত্র + ক্ষত্রিয় পাত্রী = অনুলোম বিবাহ ( অসবর্ণ)
2. ব্রাক্ষ্মন পাত্র + বৈশ্য পাত্রী = অনুলোম বিবাহ ( অসবর্ণ)
3. ব্রাক্ষ্মন পাত্র + শূদ্র পাত্রী = অনুলোম বিবাহ ( অসবর্ণ)
4. ব্রাক্ষ্মন পাত্রী + ক্ষত্রিয় পাত্র = প্রতিলোম বিবাহ ( অসবর্ণ)
5. ব্রাক্ষ্মন পাত্রী + বৈশ্য পাত্র = প্রতিলোম বিবাহ ( অসবর্ণ)
6. ব্রাক্ষ্মন পাত্রী + শূদ্র পাত্র = প্রতিলোম বিবাহ ( অসবর্ণ)
7. ক্ষত্রিয় পাত্র + বৈশ্য পাত্রী = অনুলোম বিবাহ ( অসবর্ণ)
8. ক্ষত্রিয় পাত্র - শূদ্র পাত্রী = অনুলোম বিবাহ ( অসবর্ণ)
9. ক্ষত্রিয় পাত্রী + বৈশ্য পাত্র = প্রতিলোম বিবাহ ( অসবর্ণ)
10. ক্ষত্রিয় পাত্রী + শূদ্র পাত্র = প্রতিলোম বিবাহ ( অসবর্ণ)
11. বৈশ্য পাত্র + শূদ্র পাত্রী = অনুলোম বিবাহ ( অসবর্ণ)
12. বৈশ্য পাত্রী + শূদ্র পাত্র = প্রতিলোম বিবাহ ( অসবর্ণ)
এছাড়াও প্রত্যেক বর্নের মধ্যে আবার বিভিন্ন ভাগ আছে। সেখানে অনুলোম বিবাহ সেগুলি যেখানে পাত্র উচ্চ বর্ণের আর পাত্রী নিম্ন বর্ণের।
এর উল্টো অর্থাৎ বিবাহে পাত্রী উচ্চ বর্ণের হলে সেটা প্রতিলোম বিবাহ হবে।
"প্রতিলোম বিবাহ সর্ব্বদা বর্জ্জনীয়। আমাদের শাস্ত্র প্রতিলোম সন্তানদের বিবাহ নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে।"
তাই প্রতিলোমজাত সন্তানদের সমাজ থেকে পৃথক করে রাখা হত।সেই যুগে প্রতিলোমজাত সন্তানদের চন্ডাল বলা হত।
সমাজের বাইরে থেকে তারা ওই জাতীয় কাজ করে সমাজের সেবা করত।
"এছাড়াও স্বগোত্র বিবাহও পারতপক্ষে করা উচিৎ নয়।"
আমাদের জীবনে চলার পথে জানা-অজানায় নানা-রকম ভুলভ্রান্তি হয়, তার মধ্যে অনেক কিছু আমরা শুধরে নিতে পারি। কিন্তু বিবাহে যদি ভুল হয়ে যায়, সেইভুল আর ঠিক করা সম্ভব হয়ে ওঠে না, নিজেই তো বটেই, সমাজ-পারিপার্শিক সমস্ত কিছু এর দ্বারা ধ্বংসের দিকে একটু-একটু করে এগিয়ে চলে।
তাই শাস্ত্র বারংবার বিবাহ সম্পর্কে সাবধান করেছেন।